ক্রইম সন্ধান ডেস্ক
প্রকাশিত ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১২:২০
খাগড়াছড়িতে নারী নির্যাতনের ঘটনায় তীব্র প্রতিবাদ জানাতে ‘জুম্ম ছাত্র-জনতা’র ডাকে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ চলছে।
শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে শুরু হওয়া এই অবরোধে অচল হয়ে পড়েছে জেলার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার সব ধরনের যানবাহন চলাচল। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে শত শত পর্যটক।
অবরোধ শুরুর পর থেকেই খাগড়াছড়ি শহর ও সাজেক ভ্যালিতে আটকা পড়েছেন অসংখ্য মানুষ। সাজেক ভ্যালিতে অন্তত দুই হাজার পর্যটক আটকা আছেন বলে জানিয়েছেন পরিবহন সংশ্লিষ্টরা।
খাগড়াছড়ি-সাজেক পরিবহন কাউন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. আরিফ জানান, শুক্রবার প্রায় ২০০টিরও বেশি গাড়ি সাজেকে গেছে। এসব গাড়িতে অন্তত দুই হাজার পর্যটক রয়েছেন। শনিবারও সাজেকগামী একাধিক গাড়ি প্রস্তুত ছিল, কিন্তু প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সেগুলো ছাড়তে দেওয়া হচ্ছে না।
অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি শহরের বলপাইয়ে আদাম এলাকায় ছয়-সাতটি গাড়ি আটকে রাখা হয়েছে। কাছাকাছি থাকা যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেঁটে শহরে প্রবেশ করছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচও জেলার বিভিন্ন জায়গায় থমকে গেছে।
অবরোধকারীরা খাগড়াছড়ি-ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়ক ছাড়াও পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়িসহ জেলার বিভিন্ন সড়কে টায়ার জ্বালিয়ে ও গাছের গুড়ি ফেলে ব্যারিকেড তৈরি করেছে। কিছু জায়গায় গাছ কেটে সরাসরি সড়ক অবরোধ করা হয়েছে।
গাজীপুর থেকে পরিবার নিয়ে আসা মো. সোলাইমান বলেন, ছোট ছেলে-মেয়ে নিয়ে পথে আছি। সাজেকের গাড়ি না ছাড়লে হোটেলে উঠব কি না সে চিন্তায় আছি।
নোয়াখালী থেকে আসা পর্যটক মো. ফারুক বলেন, বন্ধুদের নিয়ে সাজেক যাওয়ার জন্য খাগড়াছড়ি এসেছি। এখানে এসে অবরোধের খবর পাই। এখন আমরা আটকে আছি, যেতে পারবো কি না কিছুই জানি না।
তবে এখন পর্যন্ত শহরে ও আশপাশে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
খাগড়াছড়ি পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েল জানিয়েছেন, গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন এবং নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যারিকেড সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, গত ২৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় খাগড়াছড়ি সদর এলাকায় প্রাইভেট পড়া শেষে বাসায় ফেরার পথে এক কিশোরী সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর বাবা অজ্ঞাতনামা তিনজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন। পরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় সন্দেহভাজন শয়ন শীলকে আটক করা হয় এবং বর্তমানে তিনি রিমান্ডে রয়েছেন।