গবেষণার জন্য আনা ১৪টি ভেড়া চুরি

সারাদেশ, 19 September 2025, 40 বার পড়া হয়েছে,

ক্রইম সন্ধান ডেস্ক

প্রকাশিত : ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ১১:২২

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি)  গবেষণা প্রকল্পের খামারে লালনপালন করা উন্নত জাতের ১৪টি ভেড়া চুরি হয়েছে। ভেড়াগুলো ‘দরপার’ ও ‘গাড়ল’ জাতের ছিল বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত থেকে বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৬টার মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের গেইটের পাশের খামারে এ চুরির ঘটনা ঘটে বলে জানান গবেষণায় যুক্ত সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ফরিদা ইয়াসমিন বারি।

তবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গবেষণার জন্য আনা এসব ভেড়া চুরির বিষয়টি আলোচনায় আসে।

জানা গেছে, ঘটনার সময় খামারটিতে কোনও প্রহরী দায়িত্বে ছিলেন না, ফলে জায়গাটি ছিল সম্পূর্ণ নিরাপত্তাহীন।

গবেষণায় যুক্ত সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমিন বারি বলেন, ‘দরপার ও গাড়ল জাতের এই ভেড়াগুলো চর ও হাওর এলাকায় সুপরিচিত। বর্তমানে তিনটি প্রজনন প্রকল্প এবং দুটি গবেষণা প্রকল্প চলমান ছিল। প্রতিটি ভেড়ার ওজন প্রায় ৩০-৪০ কেজি। ১৪টি ভেড়া চুরি গেছে, এখন মাত্র ২-৩টি ভেড়া অবশিষ্ট আছে। এ ক্ষতি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য বড় ধাক্কা। এর আগেও রেল দুর্ঘটনায় ২০টি ভেড়া মারা গিয়েছিল।’

তিনি আরও বলেন, ‘বহু পরিশ্রমে আমি এই নিউক্লিয়ার স্লট গড়ে তুলেছি, যার জন্য আমি গোল্ড মেডেল অর্জন করেছিলাম। ২০১১ সাল থেকে গবেষণা চলমান থাকায় এসব ভেড়া থেকে সিমেন কালেকশন করে শিক্ষার্থীরা ব্যবহারিক প্রশিক্ষণ পেতেন। চুরির পর শুধু আমার ব্যক্তিগত গবেষণা নয় বরং বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক, স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গবেষণারও মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে।’

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নিরাপত্তা কর্মকর্তা মো. নাজমুল ইসলাম জানান, বুধবার বিকাল ৫টার পর দায়িত্বপ্রাপ্ত দুই কর্মী খামার ত্যাগ করায় রাতের বেলায় খামারটি সম্পূর্ণ ফাঁকা ছিল। পরদিন সকালে নিরাপত্তাকর্মীরা এসে দেখতে পান দরজার তালা ভাঙা এবং ভেড়াগুলো নেই। তবে সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে ঘটনায় জড়িতদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে এবং শিগগিরই থানায় সাধারণ ডায়েরি করার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কাউন্সিলের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘কোনও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটলে আমরা অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করি এবং দায়ীদের শনাক্ত করি। বর্তমানে ঘটনার স্থান ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা চলছে।’

Hello world!

13 January 2025, 66514 বার পড়া হয়েছে,