শিশুটির পরিবার ও এলাকাবাসি সূত্রে জানা গেছে,ঘটনার দিন  বুধবার সন্ধ্যায় বাসায় খেলাধুলা করছিল শিশুটি। এমন সময় শিশুটিকে একা পেয়ে ডেকে নিয়ে নির্জন স্থানে ধর্ষণ করে অভিযুক্ত নাঈম মিয়া। শিশুটিচিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে দেখে শিশুটি রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে আছে। মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় নাঈম।

পরে শিশুটিকে তার পরিবার স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে নাসিরনগর  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মুমুর্ষ অবস্থায় জেলা সদর হাসপতালে প্রেরণ করেন।

এ ঘটনার পর থেকে পলাতক রয়েছেন নাঈম মিয়া। স্থানীয়রা জানান ধর্ষক ঢাকায় কাজ করে।

শিশুটির বাবা বলেন, আমার মেয়েকে একা পেয়ে নাঈম মিয়া ধর্ষণ করেছে। মেয়েটা আমার সদর হাসপাতালে ভর্তি। আমি কুমিল্লায় চাকরি করি, ঘটনা শুনে আমি এসেছি। আমি থানায় মামলা করেছি। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।এ ব্যাপারে অভিযুক্তের বাবা কবির মিয়াকে একাধিক ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।

স্থানীয় ইউপি সদস্য প্রদীপ জানান, এ ঘটনাটি আমিও শুনেছি। শিশুটি বর্তমানে হাসপতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনায় কেউ আমার কাছে আসে নাই। তারা আসলেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নাসিরনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খাইরুল আলম জানান, এমন একটি ঘটনার কথা শুনেছি। আমাদের কাছে একটি অভিযোগ এসেছে । আমরা ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছি। খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।