ক্রাইম সন্ধান ডেস্ক
প্রকাশিত : ১১ জুন ২০২৫ , ১৫:৫৫
এখনও অচলাবস্থা কাটেনি জাতীয় চক্ষুবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের। সরকারের গঠিত বিশেষজ্ঞ কমিটি জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের ছাড়পত্র দিতে বলেছে। এদিকে ঈদের ছুটি শেষে তারা (আহত ব্যক্তিরা) আবার হাসপাতালে ফিরে এলে পরিস্থিতি কী হবে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (১০ জুন) এই হাসপাতালে মাত্র তিনজন রোগী ভর্তি ছিলেন, তারা জুলাই অভ্যুত্থানে আহত। ২৫০ শয্যার এই হাসপাতালের পুরুষ ও নারী ওয়ার্ডে আর কোনো রোগী ছিলেন না। হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা ছিল, বেলা ১টা পর্যন্ত ৬০ জন রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। হাসপাতালে কোনো রোগী ভর্তি হননি, কোনো অস্ত্রোপচার হয়নি।
দুই সপ্তাহ ধরে দেশের সবচেয়ে বড় এই বিশেষায়িত চক্ষু হাসপাতালে অচলাবস্থা চলছে। গত ২৮ মে জুলাই আহতদের সঙ্গে সাধারণ রোগী এবং হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা–কর্মচারীদের সংঘর্ষ–মারামারির পর হাসপাতালে সব ধরনের সেবা বন্ধ হয়ে যায়। ভর্তি রোগীরা হাসপাতাল ছেড়ে চলে যান। এরপর থেকে হাসপাতালের পরিচালক খায়ের আহমেদ চৌধুরী ছুটিতে আছেন।
এদিকে ঈদের ছুটির এক দিন আগে জরুরি বিভাগ চালু করা হয়েছে। শনিবার (১৪ জুন) হাসপাতাল পুরোদমে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক মো. জানে আলম মৃধা।
ঈদের ছুটির আগে জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ৫৪ জন হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। তাদের মধ্যে তিন–চারজন ছাড়া বাকি সবাই বাড়ি চলে গেছেন। তবে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কেউ হাসপাতালের ছাড়পত্র নিয়ে যাননি।