অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৯ জুলাই ২০২৫ , ২২:২০
সন্তান নেওয়ার চেষ্টা করছেন, কিন্তু বারবার ব্যর্থ হচ্ছেন? এর পেছনে অনেক সময় লুকিয়ে থাকে এমন কিছু কারণ, যেগুলো সহজ কিছু রক্ত পরীক্ষায় ধরা পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন বন্ধ্যত্ব বিশেষজ্ঞ ডা. স্নেহা সাত্থে।
ভারতের মুম্বাইয়ের নোভা আইভিএফ ফার্টিলিটি ক্লিনিকের ক্লিনিক্যাল ডিরেক্টর ডা. সাত্থে বলেন, ‘‘ফার্টিলিটি বা প্রজনন স্বাস্থ্য সম্পর্কে আগে থেকেই সচেতন হওয়া এবং প্রাথমিক টেস্ট করানো হলে অনেক সময় সমস্যার সমাধান দ্রুত হয়। এটি জীবনধারার পরিবর্তন, ওষুধ কিংবা আইইউআই বা আইভিএফের মতো চিকিৎসা পদ্ধতির প্রয়োজনীয়তা নির্ধারণেও সহায়ক।’’
কেন গুরুত্বপূর্ণ এই টেস্টগুলো?
বিশ্বে প্রতি ৬টি দম্পতির মধ্যে একজন বন্ধ্যত্ব সমস্যায় ভোগেন। অনেকে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন, আবার অনেকে দেরি করে ফেলেন চিকিৎসা শুরু করতে। অথচ বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ কিছু রক্তপরীক্ষা সমস্যার ইঙ্গিত দিতে পারে।
প্রাথমিকভাবে যে পরীক্ষাগুলো করানো উচিত:
নারী ও পুরুষ উভয়ের জন্য:
নারীদের জন্য অতিরিক্ত পরীক্ষা:
পুরুষদের জন্য:
সিমেন অ্যানালাইসিস — শুক্রাণুর সংখ্যা, গতি ও গঠন
প্রয়োজন হলে হরমোন বা জেনেটিক পরীক্ষা
বয়সের সঙ্গে প্রজনন ক্ষমতার সম্পর্ক
নারীদের ক্ষেত্রে বয়স একটি গুরুত্বপূর্ণ ফ্যাক্টর। ৩০ পেরোলেই ডিম্বাণুর সংখ্যা ও গুণমান কমে যেতে থাকে, আর ৩৫-এর পর ধস নামে দ্রুত। তাই বয়স বেশি হলে আরও তাড়াতাড়ি এই টেস্ট করিয়ে নেওয়া উচিত বলে জানান ডা. সাত্থে।
তিনি বলেন, ‘‘যদি আপনি এক বছর ধরে চেষ্টা করে ব্যর্থ হন (অথবা ৩৫-এর বেশি হলে ৬ মাস), তবে দেরি না করে পরীক্ষা করান। বেশিরভাগ পরীক্ষা একবার রক্ত বা বীর্য দিলেই হয়ে যায়। ডাক্তার পরিস্থিতি অনুযায়ী পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করবেন।’’