শ্বাসকষ্ট ও ক্যান্সারসহ যেসব রোগের ঝুঁকি বাড়ায় মশার কয়েল

স্বাস্থ্য, 24 September 2025, 48 বার পড়া হয়েছে,

ক্রইম সন্ধান ডেস্ক

প্রকাশিত : ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ০:১৩

এডিস মশার প্রকোপ কোনোভাবেই কমছে না। চলতি মাসেই একদিনে ডেঙ্গুতে মারা গেছেন রেকর্ড ১২ জন। নিম্ন ও নিম্নমধ্যবিত্তের জন্য এডিস থেকে বাঁচার সহজ হাতিয়ার হিসেবে দীর্ঘদিন ধরেই ব্যবহৃত হচ্ছে মশার কয়েল। তবে বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, কয়েল কিছু ক্ষেত্রে মশা দূর করতে সাহায্য করলেও এর ধোঁয়া শ্বাসকষ্ট, ফুসফুসের ক্যান্সারসহ নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি বাড়ায়। তাই মশা থেকে নিরাপদে বাঁচতে মশারি ছাড়া কার্যকর বিকল্প নেই বলেই মত চিকিৎসকদের।

শহরের অলিগলির দোকানগুলোতে সহজেই পাওয়া যায় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মশার কয়েল। দাম নাগালের মধ্যে থাকায় এসব কয়েল নিয়মিতই কেনেন সাধারণ মানুষ। কেউ ব্যবহার করছেন ২৪ ঘণ্টার, কেউ বা ৭২ ঘণ্টার কার্যকারিতা দাবি করা কয়েল। ফলে ঘরে ঘরেই জ্বলছে কয়েল, আর বন্ধ ঘর ধোঁয়ায় ভরে উঠছে।

তবে রাতে কয়েল জ্বালিয়ে ঘুমানো মানেই ডেঙ্গুর ভয়াল থাবা থেকে সম্পূর্ণ নিরাপদ থাকা নয়। চিকিৎসকেরা বলছেন, কয়েল শতভাগ মশা দূর করতে পারে না বরং এর ব্যবহারে নানা স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি হয়।

চিকিৎসকরা জানান, মশার প্রকোপ থেকে বাঁচতে গিয়ে মানুষ নিজের অজান্তেই ফুসফুসের ক্ষতি করছেন। কয়েলের ধোঁয়ায় এমন কিছু গ্যাস থাকে, যা শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুস ঠিকমতো কাজ করতে পারে না, বিশুদ্ধ অক্সিজেন গ্রহণে বাধা সৃষ্টি হয়।

রাজধানীর কিছু ঘুরে দেখা গেছে, ডেঙ্গু ওয়ার্ডে ভর্তি রোগীদের অনেকেই নিয়মিত কয়েল ব্যবহার করতেন। কিন্তু কয়েল ব্যবহারের পরও তারা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাননি। বরং ধোঁয়ার কারণে শ্বাসকষ্ট, মাথা ব্যথা এবং নানা অস্বস্তির কথা জানিয়েছেন তারা। রোগীদের ভাষ্য, কয়েল জ্বালালেও মশা পুরোপুরি দূর হচ্ছে না, উল্টো ধোঁয়ার কারণে শারীরিক সমস্যা বাড়ছে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও বলছেন, মশার কয়েল মানবস্বাস্থ্যের জন্য গুরুতর ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। বিশেষ করে শিশুদের জন্য এই ধোঁয়া মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, মশা তাড়াতে যে কয়েল বা অ্যারোসল ব্যবহার করা হচ্ছে, তা কখনও কখনও প্রাণঘাতী হয়ে উঠতে পারে। এসব পণ্যের ধোঁয়া শরীরে প্রবেশ করলে ফুসফুসের ক্যান্সার, অ্যাজমা, হাঁপানি, অ্যালার্জি এমনকি ফুসকুরিও দেখা দিতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মশার কয়েল ব্যবহারে মানুষকে নিরুৎসাহিত করতে হবে। পাশাপাশি এইসব পণ্যের উৎপাদন, বিপণন ও বাজারজাতকরণে কড়া নজরদারি প্রয়োজন।

Hello world!

13 January 2025, 66160 বার পড়া হয়েছে,