ফুসফুসের ইনফেকশন বা সংক্রমণকে বলা হয় নিউমোনিয়া। এক্ষেত্রে ফুসফুসে বায়ুপ্রবাহের নানা জায়গায় জমতে পারে তরল ও পুঁজ। এ ছাড়া অনেক ক্ষেত্রে কফ জমে। এটি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। বেশিরভাগ সময় দেখা যায় ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে ভাইরাস, ফাঙ্গাসের কারণে এই রোগ বেশি করে দেখা দিচ্ছে।
যাদের ঝুঁকি বেশি
বয়স পয়ষট্টির বেশি, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম, ডায়াবেটিস, হাইপ্রেশার, ক্যানসার কিংবা এইচআইভির রোগীদের মধ্যে নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বেশি।
যেসব লক্ষণ দেখা যায়
মায়োক্লিনিক জানিয়েছে, নিউমোনিয়ার উপসর্গ মৃদু থেকে শুরু করে গুরুতর হতে পারে। কী ধরনের জীবাণু, ফুসফুসের কতটা অংশে সমস্যা হয়েছে ইত্যাদি বিষয়ের ওপর নির্ভর করেই লক্ষণ দেখা দেয়। এ কারণে একেকজনের শরীরে ভিন্ন ভিন্ন লক্ষণ দেখা দিতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই যেসব লক্ষণ দেখা দেয় সেগুলো হলো- কাশি বা শ্বাস নেওয়ার সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা, বিভ্রান্তি, কাশির সঙ্গে কফ ওঠা, ক্লান্তিতে ভোগা, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর হতে পারে, শরীরের তাপমাত্রা কমে যেতে পারে ও তীব্র শ্বাসকষ্ট হতে পারে।
নবজাতকের শরীরে এ ইনফেকশনের তেমন উপসর্গ দেখা যায় না। তবে বমি, জ্বর, কাশি কিংবা ক্লান্তি থাকতে পারে।
কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন
শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, জ্বর ১০২ ডিগ্রির বেশি, কাশির সঙ্গে পুঁজ বের হলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। এছাড়া বয়স ৬৫ বছরের বেশি হলে ও শিশুর বয়স ২ বছরের নিচে হলে কিংবা ইমিউনিটি দুর্বল, কেমোথেরাপি চললে অবশ্যই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
নিউমোনিয়ার চিকিৎসা
ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হলে অ্যান্টিবায়োটিক, ফাঙ্গাসের কারণে হলে অ্যান্টিফাঙ্গাল আর ভাইরাস থেকে সংক্রমণ হলে প্রয়োজনে অ্যান্টিভাইরাল দেওয়া হয়।
সূত্র: এনএইচএস, মায়োক্লিনিক।