৫ আগস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর দলীয় নেতাদের বিরুদ্ধে তিনি বিস্ফোরক মন্তব্য করে দেশব্যাপী ভাইরাল হন। উম্মে হানি সেতু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা যুব মহিলা লীগের সহ-সভাপতি। শুক্রবার (১ মার্চ) রাতে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবহানী খেলার মাঠ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
ধানমন্ডি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আহমেদ মাসুদ জানান, আবহানী মাঠের পাশে সড়কে সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর তল্লাশি অভিযান চালানো হয়। তখন উম্মে হানি সেতুকে পেয়ে তাকেও তল্লাশি করা হয়। এসময় তার মোবাইল থেকে কিছু তথ্য পাওয়া যায়। তখন জানা যায়, তিনি যুব মহিলা লীগের নেত্রী।
ওসি আরও বলেন, তবে তিনি জিজ্ঞাসাবাদে জানান যে, এখন তিনি আর রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়। রাজনীতি করে ওনার সংসার চালাতে কষ্ট হয়। কিন্তু খোঁজ নিয়ে জেনেছি, তিনি অনৈতিক কাজের সঙ্গে জড়িত। পরে তাকে আমরা আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তাকে শুক্রবার আদালতে পাঠানো হলে তিনি জামিন পান।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানার ওসি জানান, উম্মে হানি সেতুর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে। তিনি যেন বিদেশ না যেতে পারেন এই ব্যবস্থাও নেওয়া আছে। পরে তাকে আবার গ্রেফতার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
উম্মে হানি সেতু আওয়ামী সরকার পতনের পর দলীয় একটি ফেসবুক গ্রুপে সিনিয়র নেতাদের নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেন। এর অডিও রেকর্ডের বিপত্তিতে সংবাদপত্রে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। তখন ঘটনাটি দেশজুড়ে আলোড়ন তৈরি করে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার গণমাধ্যমকর্মী একজন জেলা প্রতিনিধিকে তিনি ফোনে গালাগাল করে হুমকিও দেন এই মহিলা যুব লীগ নেত্রী উম্মে হানি সেতু। পরবর্তীতে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
এ বিষয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, শনিবার সকালে ঢাকা থেকে উম্মে হানি সেতুকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নিয়ে আসা হয়। তার বিরুদ্ধে তিনটি মামলা চলমান।