কিছুদিন আগে বাংলাদেশের সেনাপ্রধানের সঙ্গে গোপনে বৈঠক করেছে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিক্রম মিস্ত্রি। যা একদমই ভালোভাবে নেয়নি নেটিজেনরা। তখন অনেকেই বিভিন্ন মাধ্যমে প্রশ্ন তুলেছিল সেনাপ্রধানের সঙ্গে গোপন বৈঠকের কি আবশ্যকতা রয়েছে। যেখানে বাংলাদেশে এতো ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে ভারতে অবস্থান নিয়েছে এবং ভারত সরকার হাসিনাকে সবরকম সাহায্য সহযোগিতা করে যাচ্ছে তাই স্বাভাবিকভাবেই জনমনে শঙ্কা জেগেছে নতুন করে কি ষড়যন্ত্র করছে ভারত।
এবার যেন সেই উত্তেজনার পারদে বিস্ফোরণ ঘটালো ভারতীয় মিডিয়া হিন্দুস্তান টাইমস। সম্প্রতি প্রতীকটির এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর প্রধানরা প্রথমবারের মতো নয়াদিল্লিতে বৈঠকে বসবেন। গত ২২ জানুয়ারির ওই প্রতিবেদনে এমনটাই জানানো হয়।
এছাড়াও প্রতিবেদনটিতে বলা হয়,বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মহম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকি ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) প্রধান দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে আলোচনার জন্য আগামী ১৬ থেকে ১৯ ফেব্রুয়ারি ভারত সফর করবেন।
এদিকে পত্রিকাটির এমন প্রতিবেদনে সামাজিক মাধ্যমে দেখা দিয়েছে বিরূপ প্রতিক্রিয়া। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন গুরুত্বপূর্ণ এমন সংবাদ কেন বাংলাদেশি মিডিয়াকে জানানো হলো না। কেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম থেকে আমাদের এই খবর জানতে হলো। তাহলে কি নতুন করে কোন কূটকৌশল চলছে কিনা?
এছাড়া সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে রাফিদ নামে একজন লিখেছেন, ‘বিজিবি কি ঘুমায় নাকি ঘাস কাটে?’ রানা নামে একজন ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘বিজিবির মাল্টিমিডিয়া কি চুলটা ছিঁড়ছে? এমন সেনসিটিভ একটি সংবাদ কেন ভারতীয় মিডিয়া থেকে জানতে হলো?’