ক্রইম সন্ধান ডেস্ক
বিউটি পার্লারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে বাসায় আটকে রেখে এক গৃহবধূকে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করার অভিযোগে দম্পতিসহ তিনজনকে আট বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি ৭০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বরিশালের মানবপাচার অপরাধ দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. সোহেল আহমেদ এক আসামির উপস্থিতিতে মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) শেষ কার্যদিবসে এ রায় ঘোষণা করেছেন বলে জানিয়েছেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—পটুয়াখালী পৌরসভার টাউন জৈনকাঠি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ আলী রানা (৪৫), তার স্ত্রী শাহানারা বেগম জেসমিন (৪০) এবং পিরোজপুরের টোনা গ্রামের বাসিন্দা আকাশ রহমান (৪৮)। এর মধ্যে রায় ঘোষণার সময় জেসমিন ও আকাশ পলাতক ছিলেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত।
মামলার বরাতে বেঞ্চ সহকারী তুহিন মোল্লা বলেন, বরিশাল নগরীর বাসিন্দা ওই গৃহবধূ চাকরির সন্ধানে রানা ও জেসমিন দম্পতির কাছে যান। তাদের বিউটি পার্লারে চাকরি দেওয়ার কথা বলে নগরীর শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনের বাসায় ওই গৃহবধূকে ডেকে নেওয়া হয়। সেখানে তাকে জিম্মি করে জোরপূর্বক অনৈতিক কাজে বাধ্য করা হয়।
এরপর গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ২০২০ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর শ্রীনাথ চ্যাটার্জি লেনের আফতাব ম্যানশনের নিচতলায় ওই দম্পতির ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। সে সময় ওই গৃহবধূসহ আরও দুই তরুণীকে উদ্ধার ও দম্পতিসহ তাদের অপর সহযোগী আকাশ রহমানকে আটক করে পুলিশ। ঘটনার পরের দিন ওই গৃহবধূ কোতোয়ালি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে শাহানারা বেগম জেসমিন ও আকাশ রহমান জামিনে বেরিয়ে আত্মগোপন করেন।
২০২১ সালের ৭ জানুয়ারি তৎকালীন মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের এসআই মো. মহিউদ্দিন আহমেদ দণ্ডপ্রাপ্ত তিনজনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র প্রদান করেন।
মামলার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে তিন আসামিকে দুটি ধারায় আট বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়; অনাদায়ে তাদের আরও ছয় মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায় ঘোষণা করেছেন বিচারক।