অভিযোগ রয়েছে, চুরির অপবাদ দিয়ে সুমন দাস সহযোগী মো. রাব্বিকে নিয়ে বোরখা পরিহিত নারীর মাথার কাপড় খুলে চুল কাটেন। পাশাপাশি আরও দুই নারী ও তাদের সঙ্গে থাকা শিশুকে প্লাস্টিকের পাইপ এবং রড দিয়ে মারধর করেন। এ সময় উপস্থিত স্থানীয়রা সুমন দাসকে বাধা দিলে হুমকি দেন তিনি।
চুল কেটে দেওয়া ও মারধরের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে দেখা যায়, এক নারীর চুল কেঁচি দিয়ে কাটছে সুমন দাস। এ সময় অন্য দুই নারীকে আটকে রাখা হচ্ছে।
অভিযুক্ত সুমন এস.এম ইলেকট্রিক কর্নারের মালিক। আর রাব্বি মা টেলিকমের মালিক।
এদিকে, এ ঘটনায় স্থানীয়রা পুলিশে অভিযোগ দেন। পরে আখাউড়া থানার এসআই কামরুল হাসান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে মূল অভিযুক্তদের গ্রেফতার না করায় স্থানীয়দের মাঝে ক্ষোভ বিরাজ করছে। সোমবার সকালে আখাউড়া থানার সামনে জমায়েত হয়ে তারা দ্রুত অভিযুক্তদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি তোলে।
আখাউড়া থানার ফেসবুক পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওসি ছমিউদ্দিন সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বজায় রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেছেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাক্ষ্যপ্রমাণ সংগ্রহ ও চিহ্নিত অভিযুক্তদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।
ওসি ছমিউদ্দিন বলেন, অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চক্রান্ত রুখতে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ভিডিও ফুটেজ ও সাক্ষ্য প্রমাণ বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।